ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশীসহ ৩৯৪ অভিবাসী উদ্ধার
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী কাঠের নৌকা থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টার এক অভিযানে ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশীসহ ৩৯৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জার্মানি এবং ফ্রান্সের দু’টি দাতব্য উদ্ধারকারী জাহাজ রোববার রাতে ভূমধ্যসাগরে বিপজ্জনকভাবে উপচে পড়া কাঠের নৌকা থেকে ওই অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেছে, উদ্ধারকৃত অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, মরক্কো, মিসর এবং সিরিয়ার নাগরিক। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশী ওই নৌকায় ছিলেন; সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওসান ভাইকিংয়ের উদ্ধারকারী জাহাজ এবং জার্মানি এবং ফ্রান্সের বেসরকারি সংস্থা সি-ওয়াচ ৩ উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে তিউনিশিয়ার জলসীমার ভেতরে তেল স্থাপনা এবং অন্যান্য জাহাজের কাছ থেকে সাগরে ভাসতে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করেছে।
রোববার রাতের ওই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছে সি-ওয়াচ ৩ ভূমধ্যসাগরে । জার্মানির এই অলাভজনক সংস্থা মোট ১৪১ জনকে উদ্ধার করেছে। বাকি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করেছে ওসান ভাইকিংস। রাতের এই উদ্ধার অভিযানে জার্মানির আরেক এনজিও রেসকিউ শিপের ইয়াট ‘নাদির’ সহায়তা করেছে।
তবে সাগরে ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কারো মৃত্যু অথবা কেউ আহত হয়েছেন কি-না তা এখনো জানা যায়নি। নৌকাটির পাটাতন এবং বাহিরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপক ভিড় ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, নৌকাটি সাগরে যাত্রা শুরুর পরপরই এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় সম্প্রতি লিবিয়া এবং তিউনিশিয়া থেকে ইতালি এবং ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগরে ছোট ছোট নৌকায় চেপে প্রায়ই ইউরোপের উদ্দেশ্যে তাদের যাত্রা শুরু করেন।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন এক হাজার ১০০ জনের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী লিবিয়ার কোস্টগার্ডের জাহাজে থাকলেও তারা এনজিওটির জাহাজ দেখার পর সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেখান থেকে সি-ওয়াচ থ্রির ক্রুরা তাদের উদ্ধার করে জাহাজে তোলেন।