ভাতিজীকে বাঁচাতে গিয়ে চাচাসহ ৪ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট : অবশেষে ভাতিজীর মৃত্যু!
বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে প্রায় মাটির সঙ্গেই ঝুলেছিল। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার করেন শান্তা আক্তার। এ চিৎকার শুনে ভাতিজীকে বাঁচাতে এসে চাচাসহ আরও ৪ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে।
চাচা ভাতিজীকে বাঁচানোর শত চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি শান্তা আক্তারকে। অবশেষে ১৫ বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শান্তা আক্তার মৃত্যুর কাছে হেরে গেল৷
সোমবার (৮ মার্চ) আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্তা আক্তার উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা আলগা বাড়ির জজ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে বিদ্যুৎতের তার ছিঁড়ে উঠানে পড়ে থাকতে দেখে শান্তা সেই তার সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। শান্তা আক্তারের চিৎকার শুনে তার ভাতিজীকে বাঁচাতে গিয়ে ফখরুদ্দিনও (৫৫) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তারপর ফখরুদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়ে একে একে তার স্ত্রী হাসনা বেগম (৪৫) ও ৭ বছরের নাতনী সামিয়াও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝুঁলে থাকে।
নিহতের চাচা রাহিম জানান, খবর পেয়ে সবাইকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো গেলেও শান্তাকে বাঁচাতে পারিনি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুর পর শান্তার লাশ পরিবারের লোকেরা নিয়ে গেছে। এই ব্যাপারে এখনোও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।