ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামটির সাথে মিশে আছে আমার পরিচয়, আমি গর্বিত আমার জেলার জন্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানবতা জেগে উঠার খবর অনেক। কিন্তু জেলার সামান্য কিছু ভূঁইফোড় ও তথাকথিত সাংবাদিক লেবাসধারীদের জন্য প্রাণের এই জেলাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল এর শিকার হতে হচ্ছে প্রায়ই। আমি এটা বলতে চাচ্ছিনা যে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হয়না এ জেলাতে, হয় কিন্তু এটাতো সারাদেশের প্রতিটি জেলায়ই হয়। কৈ তাতো জাতীয় পত্রিকায় স্থান পায়না বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল হয়না।
আমাদের এ জেলাতে এমন অনেক অনেক ভালো ও ঐতিহাসিক ঘটনা বা কাজ আছে যা শুধু আমাদের জেলা এবং দেশেই নয় সারা পৃথিবীর বুকে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। অনেক গুণিজন এ জেলায় ছিলেন এবং এখনো আছেন, যাদের দ্বারা শুধু আমাদের জেলা নয় বরং পুরো দেশ উপকৃত হয়েছেন, এখনো হচ্ছেন। আমাদের জেলায় শুধু নয়, সব জেলাতেই এমন আলোকিত লোক ও ভালো কাজের অনেক উদাহরণ আছে। তবে কেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়েই ইদানীং বেশি সমালোচনা?
যেসব সাংবাদিক ভাই তাদের মূল্য ও যোগ্যতা বেশি বুঝাতে গিয়ে বার বার জাতীয় পত্রিকায় আমাদের জেলাকে খাট করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন, একটা বার কি ভেবেছেন যে আপনিও হাসির খোড়াক হয়েছেন? জেলার সবার কাছে এমনকি আপনার নিজের ঘরেই আপনি ঘৃণার পাত্রে পরিণত হচ্ছেন।
অতীতের ভালো কাজগুলো বাদই দিলাম, আজ কিছুদিন ধরে জেলায় যে মানবতার গান অর্থাৎ ভালো কাজগুলো হচ্ছে তা আমাকে বা আমাদেরকে গর্বিত করছে যা প্রশংসার দাবিদার। এখন তথাকথিত হঠাৎ সাংবাদিক পরিচয় ধারণ করা লোকেরা কোথায়? এখন কি আপনারা আপনাদের কলম দিয়ে জাতীয়ভাবে তা উপস্থাপন করতে পারেন না? মহামারী করোনার মধ্যে কিভাবে নিজের সব সামর্থ্য দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকলে একহয়ে দাঁড়িয়ে লড়ে যাচ্ছে। নিজেদের যোগ্য ও সততার ধারক মনে করে থাকলে একটি বার ভালো কাজগুলোর মূল্যায়ন করুন।
এখনতো তথাকথিত সাংবাদিক ভাইগুলো এসব ভালো কাজগুলো নিয়ে তাদের রিপোর্ট জাতীয় পত্রিকায় দেন না। জেলার ভালো কাজগুলো কেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল হয়না।
করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে ফ্রী অক্সিজেন সেবা নিয়ে ছুটে চলেছেন অনেক যুবক, অনেক সংগঠন। এমনকি ব্যক্তি উদ্যোগেও চলছে এ সেবা। মহামারী করোনা পরিস্থিতির শুরুতে অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন খাদ্য সহায়তা নিয়ে।
আমি ধন্যবাদ জানায় যারা ব্যক্তি উদ্যোগে ফ্রী অক্সিজেন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা অনেক সম্মানিত মানুষ, তাদের নাম আর আলাদাকরে না নিয়ে বরং জেলার যুবকদের কথা বলায় বেশি যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি।
আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানায় কিছু সামাজিক ও মানবিক সংগঠনকে। তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো- ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বিগ্রেড, বাউনবাইরার কতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু অক্সিজেন সেবা ( পৌর ছাত্রলীগ), রেড-ক্রিসেন্ট ইউনিট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর, আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগ, আলোকিত কসবা বাসী, নিশ্বাস নিবে আশুগঞ্জ এবং আরও অনেকেই যাদের নাম এখন মনে করতে পারছি না।
লেখক একজন মাধ্যমিকের ছাত্র। তার পরিচয় গোপন রাখতে অনুরোধ করেছেন। তার লিখাটি হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। কোন প্রকার কারেকশন করা হয়নি। এমনকি ভুল বানানও শুদ্ধ করা হয়নি।