ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজনের মৃত্যু, সংক্রমণের হার ৫৬.৩০% ছাড়িয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় মহামারী করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু কমছে না। প্রতিদিনই মৃত্যু হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সর্বশেষ জেলায় ১০২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নবীনগর উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, সদর উপজেলার ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, কসবা উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন মহিলা ও সরাইল উপজেলায় ৭৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ রয়েছে।
গতকালের ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারের পিসিআর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের র্যাপিড এন্টিজেন ল্যাবের ১১৯ টি রিপোর্টে নতুন আরও ৬৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। জেলায় সংক্রমণের হার ৫৬.৩০% ছাড়িয়েছে।
যার মধ্যে সদর উপজেলায় ২২ জন, নাসিরনগর উপজেলায় ০২ জন, সরাইল উপজেলায় ০২ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ০৮ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৭ জন, আখাউড়া উপজেলায় ০৫ জন ও কসবা উপজেলায় ০১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নবীনগর উপজেলায় সর্বোচ্চ ২৭ জন রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৪৯ হাজার ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬ শত ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬ শত ৬৮ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ উক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংক্রমণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, লকডাউন চললেও গ্রামের চায়ের দোকান, টংদোকানসহ প্রায় সবই খোলা। ফলে জেলায় দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে। শহরেও একই অবস্থা। এ অবস্থায় আমরা লকডাউন কতটা মানছি, সেটাই প্রশ্ন?