বেলজিয়ামকে হতাশায় ডুবিয়ে সেমিতে ইতালি
ইতালি ফিফা র্যাংকিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ দল বেলজিয়ামকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। ইতালি এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় বছর পর টুর্নামেন্টটির শেষ চারে উঠলো।
জার্মানির মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত শুক্রবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে ইউরোর দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামকে হতাশায় ডুবিয়ে শিরোপার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলো রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা।
চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি এর আগে সবশেষ ২০১২ সালে সেমিফাইনালে উঠেছিল। সেবার ফাইনালও খেলে, কিন্তু স্পেনের কাছে হেরে রানার্সআপ হতে হয়েছে। এবার সেই স্পেনের সঙ্গে সেমিফাইনালেই মুখোমুখি হতে হবে তাদের। আগামী শুক্রবার যুক্তরাজ্যের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে উভয় দল মাঠে নামবে।
ম্যাচটা প্রথম থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ভরপুর ছিল। উইঙ্গার দমেনিকো বেরার্দির জায়গায় গত ম্যাচের নায়ক ফেদেরিকো কিয়েসাকে প্রথম থেকেই নামানো হয়েছিল। চোট থেকে ফিরে সরাসরি মূল একাদশে ঢুকে গিয়েছিলেন অধিনায়ক জর্জো কিয়েল্লিনি। ওদিকে চোটের কারণে এদেন হ্যাজার্ডকে নামায়নি বেলজিয়াম, তাঁর জায়গায় তরুণ জেরেমি দোকুকে নামানো হয়েছিল।
শুরুতেই এদিন, আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পায় ইতালি। কিন্তু ভিএআরের বদান্যতায় বেঁচে যায় বেলজিয়ানরা। রেফারি অফসাইডের সিগন্যাল দেওয়ায় সেটি বাতিল হয়ে যায়।
ইতালি বেলজিয়ামের মাঝমাঠকে সহজেই প্রেস করে আক্রমণভাগ পর্যন্ত এগিয়ে যাচ্ছিল। সেটার সুফলও পেয়ে যায় হাতেনাতে। নিকোলো বারেল্লার গোলে ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইতালি। দুর্দান্ত ড্রিবল ও ডান পায়ের মাপা শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে লরেঞ্জো ইনসিনিয়ার দৃষ্টিনন্দন এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় l বেলজিয়ামের মাঝমাঠ আর রক্ষণ তখন ছন্নছাড়া।
শেষমেশ দলকে বাঁচেত এগিয়ে এলেন হ্যাজার্ডের জায়গায় মাঠে নামা দোকু। বাঁ প্রান্ত থেকে বিপজ্জনকভাবে ডিবক্সে ঢুকতে চাইলে অন্যায়ভাবে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে, পেনাল্টি পায় বেলজিয়াম। পেনাল্টি থেকে বারেল্লার ক্লাব-সতীর্থ রোমেলু লুকাকু গোল করে ব্যবধান কমান।
বেলজিয়াম বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ ও দারুণ সুযোগ তৈরি করেও স্কোর বাড়াতে ব্যর্থ হয় তারা। ইতালিও কিছুটা রক্ষণাত্মক পন্থায় চলে যায়। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলেই ম্যাচ শেষ হয়েছে।