বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে
বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে । মূলত দেশের রপ্তানি ও প্রবাসী যোদ্ধাদের প্রবাসী আয়ের উপর ভর করে পুনরুদ্ধার হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
এমনকি মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের মতো আগামীতেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ধারা রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এশিয়ার অর্থনীতি বিষয়ক সম্পূরক আউটলুকে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এডিবি জানায়, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি ১৩ দশমিক ছয় শতাংশ এবং প্রবাসী আয় ৩৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।
গত শুক্রবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এডিবি। এতে এশীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আগের দেয়া পূর্বাভাস সংশোধন করা হয়েছে।
জুলাইয়ের আউটলুকে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের (২০২১ সালের জুনে শেষ হয়েছে) প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
তাছাড়া ২০২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশের রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। এগুলোর হাত ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত এপ্রিল থেকে দেওয়া বিধিনিষেধে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে বলে উল্লেখ করেছে এডিবি।
তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এশিয়ায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকলেও গত এপ্রিলে প্রকাশিত আউটলুকে প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। এপ্রিল মাসে এশিয়ায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা বলেছিল এডিবি, এখন তা ৭ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
নামিয়ে আনার কারণ হিসাবে কয়েকটি দেশে ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। তবে ২০২২ সালে এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার পূর্বঘোষিত ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।