‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলতে না পেরে কিশোরীর আত্মহত্যা
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের মানসিক অবসাদ গ্রাস করছে। এ গেম খেলতে মোবাইল ফোন না পেয়ে এক স্কুলশিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেঁছে নিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় মোবাইল ফোনে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলতে না পেরে মায়ের সাথে অভিমান করে শারমিন আক্তার (১৫) নামে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ওড়না পেছিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে শারমিন আক্তারের মরদেহটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।
গতকাল রাতে ৯টার দিকে উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শারমিন উত্তর পাড়া এলাকার শেখ বাড়ির লিয়াকত হোসেনের মেয়ে। সে মোহাম্মদপুর ইউনাইটেড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
শারমিনের চাচা সোহাগ জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইলে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলা ও ঠিকমত পড়াশোনা না করার কারণে তার ভাবী শামীমা বেগমের মেয়ে শারমিনকে ধমক দেন। ধমক সহ্য হয়নি বলে, শারমিন রাত ৯টায় দিকে শোবার ঘরের সিলিংয়ে উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। কিছুক্ষণ পর লিয়াকত মিয়া তার মেয়েকে খোঁজ করতে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন শারমিনের পা ঝুঁলছে পরে ঘরের দরজা ভেঙে দেখে শারমিন ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছে।
সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শারমিন নামের এক শিক্ষার্থী তার বান্ধবীদের সাথে ঈদের দিনে ঘুরতে যাওয়ায় তাকে তা মা ধমক দিয়েছিল। পরে রাতেই ওই শিক্ষার্থী মায়ের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে কিনা এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। এই ব্যাপার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।