নৌকার পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর
পটুয়াখালীর বাউফলে সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার হোসেনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর ইউনিয়নের অলিপুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বাউফল সদর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত হামলার স্বীকার কাওসার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নির্দেশে তার লোকজন আমাকে মারধর করেন। আহত কাওসারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা কাওসার হোসেন মোটরসাইকেল যোগে দশমিনা যাচ্ছিলেন। অলিপুরা বাজারে পৌঁছানোর পর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ও তার দলের লোকজন কাওসার হোসেনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন । তারপর চেয়ারম্যান জাহিদের লোকজন আওয়ামীলীগ নেতা কাওসার হোসেনকে কিলঘুষি মারতে থাকেন।
ঘটনায় আহত কাওসার হোসেন হামলার বিষয়ে বলেন, গত ৭ ফেব্রয়ারি বাউফল সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের পক্ষে কাজ করি। নির্বাচনে চশমা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বিজয়ী হন। নির্বাচনের পর থেকেই চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারম্যান লোক পাঠিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার ২ঘন্টার মধ্যে অলিপুরা বাজারে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ও নির্দেশে আমার ওপর হামলা করা হয়।
বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান লিটু মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, জাহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে। আজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের উপর চেয়ারম্যান ও তার লোকজন হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন,আমি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলাম এ সময় কাওসার আমাকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করায় আমার লোকজন তাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর মারে। পরে আমিই বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে