নারায়ণগঞ্জে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ওয়ারিস সাটিফিকেট নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। একই ব্যক্তিকে দুটি ওয়ারিশ সদনপত্র দেয়াসহ একাধিক অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে চেয়ারম্যান ওয়াদুদকে বরখাস্ত করার চিঠি পেয়েছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪(৪) (খ) ও (ঘ) লঙ্ঘনপূর্বক অপরাধ সংঘটিত করায় ৩৪(১) অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান পদ হতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। একই সাথে চেয়ারম্যান ওয়াদুদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ ফৌজদারি মামলা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে একই ব্যক্তির দুটি ওয়ারিশ সনদ প্রদান, প্রশাসনিক দায়িত্বপালনে পক্ষপাতমূলক আচরণ, নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করা ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে চেয়ারম্যান ওয়াদুদের ব্যাপারে তদন্ত করে।
স্থানীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
এ ব্যাপারে সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ বলেন, সাতগ্রামের আবেদ আলী নামে এক ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদ প্রদান করা হয় কিছুদিন আগে। সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা জমির টাকা নেয়ার জন্য ওই সনদ তৈরি করা হয়। ওই সনদের প্রতিলিপি তৈরি করে সেখানে ওয়ারিশের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়।
তবে দ্বিতীয় ওয়ারিশ সনদে তিনি কোনো স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া এই ইউপি চেয়ারম্যান। ওই সনদে তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটিকেও তিনি তা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি আইনগতভাবে ফেইস করবো। আমি কোন অন্যায় করেনি।