দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৯০৪ জনে। আর নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৯০৮ জন। এই নিয়ে মোট শনাক্ত ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০১৯ জন এবং এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২২৪টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৪২৫টি নমুনা সংগ্রহ এবং ২২ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চূড়ায় (পিক) উঠেছিল গত বছরের জুন-জুলাই মাসে। ওই সময়ে, বিশেষ করে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী শনাক্ত হতো।
দেশে বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর এক মাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে ছয় দিন ধরে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রোগী (প্রতিদিন) শনাক্ত হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরেকটি চূড়ার (পিক) দিকে যাচ্ছে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি।
এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ। দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল।
গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।
তারপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে গত পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।