দক্ষিণ আফ্রিকায় জীবন নিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ আফ্রিকায় টানা ছয়দিনের সরকারবিরোধী আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে। পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। এখন পর্যন্ত সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৭২ জন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাটের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে দুর্নীতির দায়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে সহিংস আন্দোলনে একেবারে অচল হয়ে পড়েছে পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পরও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি প্রিটোরিয়ার মাদারবাষ্ট, পুমালাংগাসহ আশেপাশের অঞ্চলগুলো। আন্দোলন আর সহিংসতার ছাপ গোটা দেশজুড়ে।
চলমান সহিংসতায় স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসীদের শপিংমল, স্থাপনা আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে নিমিষেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে তিলে তিলে গড়ে তোলা প্রবাসীদের অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর্থিক ক্ষতির মুখে পথে বসেছেন অনেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শহরাঞ্চল সোয়েতোতে বেশ কিছু শপিং সেন্টার পুরোপুরি লুটে নেয়া হয়েছে। এই শহরটিতেই নেলসন ম্যান্ডেলার বাড়ি ছিল। শহরটির এটিএমগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, রেস্তোরাঁ, অ্যালকোহল ও কাপড়ের দোকান সবকিছু ভেঙ্গে-চুরে ফেলা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, সহিংসতায় বড় বড় শপিংমলগুলোতে যেভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের সব শেষ। একইসঙ্গে সহিংসতায় আমরা নিজের জীবন নিয়েও শঙ্কায় আছি। টানা কয়েকদিনের হামলায় নিঃস্ব প্রবাসী বাংলাদেশিরা আশ্রয় নিয়েছেন জোহান্সবার্গ, প্রিটোরিয়াসহ আশেপাশে শহরের বাসা বাড়িতে।
বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের তাৎক্ষণিক সহোযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করছে ইসলামিক ফোরাম অফ আফ্রিকা, বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ প্রবাসী সংগঠনগুলো। আন্দোলন বন্ধের কোনো আভাস না পাওয়ায় আরো বড় ক্ষতির শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।