ঢাকায় পৌঁছাল মেট্রোরেলের আরো দুই সেট ট্রেন
ঢাকায় মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ মেট্রো ট্রেন সেট উত্তরার ডিপো সংলগ্ন তুরাগ নদীর তীরে অস্থায়ী জেটিতে এসে পৌঁছেছে। বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বিষটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ. বি. এম. আরিফুর রহমান।
মেট্রোরেলের তৃতীয় ও চতুর্থ কোচ উত্তরার ডিপো সংলগ্ন তুরাগ নদীর তীরে অস্থায়ী জেটিতে এসে পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পত্রিকাকে বিষটি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ. বি. এম. আরিফুর রহমান।
প্রজেক্ট ম্যানেজার-সিপি-৮ (উপ-সচিব) এবিএম আরিফুর রহমান বলেন, একসঙ্গে দুই সেট মেট্রো ট্রেন কোচ জাপান থেকে ঢাকায় এসেছে। এক সেট দুপুরে, আরেক সেট সন্ধ্যায় ডিএমটিসিএল জেটিতে পৌঁছেছে। এ ট্রেন সেট দুটি গত ২২ জুনে জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে জাহাজ যোগে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ২০ জুলাই বাংলাদেশের মোংলা সমুদ্রবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে গত ১২ আগস্ট ৪টি বার্জযোগে মেট্রো ট্রেন সেট দুটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
মেকানিক্যাল-ইলেকট্রিক্যাল, ওয়াশিংসহ প্রতিটি কোচের ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপরেই কোচগুলো লাইনে তোলা হবে। এ কাজে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। এ কাজের জন্য ইতালি থেকে এক ধরনের যন্ত্র আনা হয়েছে বলেও জানায় ডিএমটিসিএল।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মেট্রোরেল কোচ ডিপোতে রেলওয়ে ট্র্যাকে বসিয়ে ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপরে কোচ একসঙ্গে করেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
মেট্রোরেল গুলোতে ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দু’টি করে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে ৪টি করে দরজা।
জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সম্বলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্ট কার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা। মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেওয়া করতে সক্ষম হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষ বসে যাতায়াতের চেয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন বলে আশা করছে ডিএমটিসিএল।
মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্পের নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষমতা থাকবে মেট্রোরেলের।