গণপরিবহনে শুধু ভাড়াই বাড়ল, স্বাস্থ্যবিধি কোথায়?
স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে গণপরিবহন চালু হলেও নজরদারির অভাবে তা ভেঙে পড়েছে। কেবল ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া অর্ধেক আসন শূন্য রাখা মাস্ক পরা বা দূরত্ব বজায় রাখার শর্তগুলো মানা হচ্ছে না। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহনের শর্তে সবশেষে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চালু করে পরিবহণ মালিকরা। এক মাস না যেতেই বাস-মিনিবাসে শারীরিক দূরত্ব না মেনে পূর্ণ আসনে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে।
মাস্ক পড়তে চান না অনেকেই তবে ৬০ ভাগ বা তারও বেশি ভাড়া ঠিকই আদায় করা হচ্ছে। শিল্প কারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়ায় যাত্রী চাপ বেড়েছে। এ অবস্থায় অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহনের শর্তে ভাড়া বৃদ্ধির খেসারত সাধারণ যাত্রীদেরই দিতে হচ্ছে।
কারণ গাদাগাদিতে সংক্রমণ ঝুঁকির সাথে অতিরিক্ত ভাড়া তাদেরই গুনতে হচ্ছে। যাত্রী নিয়ে চালক-হেলপার বলেন, অফিস শুরু ও শেষের সময়ে যাত্রী চাপেই শর্ত মানা যাচ্ছে না। আর আমরা ইচ্ছে করে যাত্রী নেই না। তারাই জোর করে গাড়িতে উঠে।
ভাড়া নিয়ে যাত্রীরা বলেন, আগের ভাড়ায় নিরাপদ। কোন নিয়ম মানা হচ্ছে না। তাহলে শুধু শুধু আমরা কেন এত ভাড়া বেশি দিব। স্বাস্থ্য বিধি মানা নিয়ে ওয়েলকাম ও মৌমিতা বাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কালু শেখ বলেন, মালিক ও শ্রমিক সমন্বয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে গাড়ি রাস্তায় চলছে। নিয়ম ভঙ্গ করছে সরকারি পরিবহন বিআরটিসির কর্মীরা।
এই সমস্যা বিষয়ে বুয়েটের এআরআই এর পরিচালক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের উপর ভাড়ার চাপ না বাড়িয়ে পিক আওয়ারে বাসের রুট ভাগ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় বিআরটিএ ও মালিক সমিতি কদাচিত অভিযান চালালেও তা তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না।