এসএসসি-এইচএসসির বিষয়ে কাল সিদ্ধান্ত
চলতি বছর এসএসসি-এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে সরকার কী ভাবছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি না বা কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের নেয়া সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (১৪ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দিনে দিনে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটিও। এর ফলে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা ফিকে হয়ে আসছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, এ অবস্থায় ‘অটো পাস’ না দিয়ে যেকোনো উপায়ে মূল্যায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এবার শিক্ষা বোর্ডগুলোও একেবারে ‘অটো পাস’ দিতে চায় না।
প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি এবং এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি আছে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে আটকে থাকা এ বছরের এসএসসি এবং ৮৪ দিন শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু এ পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ওপর।
কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। এমনকি আরও কয়েক মাসের মধ্যে খোলা যাবে কি না, সেটাই এখন আলোচনার বিষয়। কারণ, সরকারের পরিকল্পনা হলো, ‘পর্যাপ্তসংখ্যক’ টিকা দেওয়ার পর এবং করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া।
করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত বছর এসএসসি পরীক্ষার পর মহামারির কারণে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এবছরও এইচএসসি ও এসএসসি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।