ইতালিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন
ধর্মীয় ভাবগার্ম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইতালিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইতালিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্য দেশের মুসলমানরা।
রোমে সকালে বৈরী আবহাওয়া এবং গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপক্ষো করে মুসল্লিরা ঈদ জামাতে জড়ো হতে থাকেন। ঈদ জামাতে জেরুজালেম ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নৃশংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
ইহুদিবাদীদের বর্বরতার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার এক বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন মুসল্লিরা। এ সময় ইল ধূমকেতুর কর্ণধার নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু সবাইকে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানান।
রোমের ব্যস্ততম এলাকা লারগো প্রেনেসতে ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দ্বিতীয় জামাত হয় সাড়ে আটটায়। পরে তৃতীয় জামত হয় সাড়ে নয়টায়।
ঈদ উদযাপন কমিটির আহবায়ক নায়েব আলী এবং সমন্বয়ক ছিলেন আল আমিন। এছাড়াও ইতালির বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। করোনায় ইতালি সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করেন সবাই।
করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর একটু ভিন্ন ভাবে মুসলমানদের এ ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়। বাংলাদেশ সমিতির এক নং যুগ্নসাধরণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা বলেন, কোভিড-১৯ কারণে সব কিছু সীমিত হয়ে গেছে। তবুও খোলা মাঠে ঈদের জামাত পড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যেও এ দিনটি উপলক্ষে চোখের পড়ার মত মুসল্লিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে এ বছর কোভিড-১৯ এর কারণে প্রবাসীদের মনে আগের মত তেমন আনন্দ দেখা যায়নি।
নামাজের পর বিধিনিষেধ থাকায় কেউ কোলাকুলি ও মুসাফা করেননি। সবাই ইতালি সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেন।
জামাতে ছিল প্রশাসনের কড়া নিরপত্তা, ফলে সবাইকে একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে। লারগো প্রেনেসতে খোলা মাঠে জামাতের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা করেন সামাজিক সংগঠন ইল ধূমকেতুর কর্ণধার নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু এবং সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন বৃহত্তর ঢাকা সমিতি।