পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর আজ রোববার। যে রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর।
আজ সন্ধ্যায় শবেকদরের রজনি শুরু হবে। পবিত্র কোরআনে শবেকদরের রাতকে মহিমান্বিত বলা হয়েছে। এ রাতের ইবাদতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে ঘোষণা করে নাজিল হয়েছে সুরা ‘আল-কদর’।
পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে কদরের রাতে। ‘আল-কদর’ সুরায় বলা হয়েছে, ‘আমি একে নাজিল করেছি শবেকদরে।’ পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের মধ্যে যে কোনো বেজোড় রাত শবেকদর।
হজরত উবাদাহ ইবনে সামেদ (রা.) বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাত রয়েছে রমজানের শেষ ১০ রাতের মধ্যে।’ তবে বেশিরভাগ আলেম-ওলামার অভিমত, ২৬ রমজানের দিবাগত রাত, অর্থাৎ ২৭ রমজানে পবিত্র শবেকদর।
ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময় এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের এই রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এ কারণে সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সওয়াব হাসিল ও গুনাহ মাফের রাত হিসেবে শবে কদরের ফজিলত অতুলনীয়।
হাদিস শরিফে আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। শবে কদরের এ রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআন শরিফে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। শবে কদর উপলক্ষে সোমবার সরকারি ছুটি থাকবে।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা শবে কদরের পবিত্র এই রজনীতে করোনা মহামারি থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ইবাদত ও দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন।