অত্যাচার সহ্য করেও স্বামীর সংসারে থাকতে চাই মরিয়ম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লেবানন প্রবাসী সুমনকে প্রেম করে বিয়ে করেন নরসিংদীর মরিয়ম। শ্বাশুড়ি-ননদের অত্যাচার সহ্য করেও স্বামীর সংসারে থাকতে চাই মরিয়ম।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মরিয়মকে মারধর করেন তার স্বামী-শ্বাশড়ি ও ননদ।
বর্তমানে মরিয়ম মুমূর্ষু অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
প্রেমের ২ বছরের মাথায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ৩ লক্ষ টাকার কাবিননামায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোর্ট ম্যারেজ হয় এই প্রেমিক-প্রেমিকার।
মরিয়ম নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পলাশ পৌরসভার বালুচর এলাকার আইনাল হকের মেয়ে।
অন্যদিকে লেবানন প্রবাসী সুমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের নোঁয়াহাটি এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে।
আহত মরিয়ম জানান, গত দুই বছর আগে তার স্বামী সুমনের বন্ধু রবিনের মাধ্যমে দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারপর তার ফ্যামিলিকে রাজি-খুশি করে সুমনকে বিয়ে করেন মরিয়ম। বিয়ের পর সুমনের বড়ভাই সুহাগ মিয়া, মরিয়মের কাছ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা হাওলাত নেন।
অনেকদিন পর মরিয়মকে সুহাগ মিয়া ১ লাখ দিলেও বাকি টাকা দেয়নি। এসব বিষয় নিয়ে তার স্বামী ও তার শ্বাশুড়ি-ননদ বৃহস্পতিবার সকালে মরিয়মকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে তার ননদ রুমা বেগম ব্লেড দিয়ে মরিয়মের সারা শরীরে আঘাত করেন।
এই অবস্থায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে, মরিয়ম আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি হন। অন্যান্য রোগীদের সাথে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন মরিয়ম। তারপরও মরিয়ম স্বামীর সংসার করতে চাই!
এব্যাপারে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আতিকুর রহমান জানান, মরিয়মকে সুমনসহ তার মা-বোন পিটিয়ে হাসপাতালে পাটিয়েছে। আমি এ বিষয়টি জেনেছি। মরিয়মের সাথে অন্যায় করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্বামী-স্ত্রী মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধরের ঘটনা শুনেছি। জেলা সদর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে অভিযোগ আসলে অবশ্যই আইনী সহযোগিতা দেয়া হবে।