অজ্ঞাত রোগী নিয়ে বিপাকে হাসপাতাল।।
অজ্ঞাত রোগী নিয়ে বিপাকে হাসপাতাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাদুঘর বাস টার্মিনাল থেকে অজ্ঞাত (৪০) এক অসুস্থ ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই অজ্ঞাত রোগীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের নার্সরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই অজ্ঞাত রোগীকে স্যালাইন পুশ করার কিছুক্ষণ পরই তা ছিঁড়ে বিছানা থেকে নেমে মেঝেতে শুয়ে পড়েন। প্রস্রাব ও মলত্যাগ করছেন বিছানায়। কথা বলতে না পারায় পরিচয়ের সন্ধানও পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করেন মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের নার্স জানান, আজ দুপুরের পরিচয়হীন এক রোগীকে ভর্তির পর চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করি। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুসারে তার চিকিৎসার জন্য যে ধরনের প্রেসক্রাইব করা আছে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা যখন ক্যানোলা দিয়ে স্যালাইন পুশ করি, কিছুক্ষণ পরেই তা ছিঁড়ে ফেলে দেন তিনি। যতক্ষণ স্যালাইন চলতে থাকে ততক্ষণ আমাদের তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে রোগীর নিজের সমস্যা হয়, সঙ্গে অন্যান্য রোগীদেরও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
চিকিৎসকরা বলছেন, অজ্ঞান অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের মধ্যেই রোগীকে কেউ বা কারা কিছু একটা খাওয়ায়ে অজ্ঞান করেছে। যার কারনে তার শরীরের অবস্থা খুবই দুর্বল হয়ে গেছে এবং ক্রিটিক্যাল হয়ে পড়েছে। পরিচয়হীন আরও ৪টি রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজকে এ অজ্ঞাত রোগীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে নার্সরা। অভিভাবক না থাকায় উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
পথচারী মনির হোসেন জানান, ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি আজ সকালে টংগী থেকে উত্তরা পরিবহনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসছিল। উত্তরা বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাদুঘর বাস টার্মিনালে আসার পর ওই ব্যক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে, পরে তাকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায় মনির হোসেন। হাসপাতালে ভর্তি করিয়া তিনিও চলে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। সাধ্যমতো চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করছি। শুরু থেকে রোগীর অবস্থার উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠাতে অভিভাবক দরকার তা আমরা পাচ্ছি না। রোগীর উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।