মহামারি করোনা ভাইরাসের জেরে দীর্ঘদিন থেকে কাজ নেই, সংসারে আর্থিক অনটন। এ কারণে সব সময় কথা শোনান স্ত্রী। প্রতিদিনের এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই নিজের মৃত্যুর নাটক সাজিয়ে গায়েব হয়ে যান এক ব্যক্তি।
অভিনব এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারে। ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ঘটনার বিহারের ৩৭ বছর বয়সী প্রদীপ কুমার রাম স্ত্রীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে ছাগলের রক্ত দিয়ে নিজের খুন হওয়ার গল্প সাজিয়ে উত্তর প্রদেশে পালিয়ে যান।
এর পরে ৩৩ বছর বয়সী সরকারি স্কুল শিক্ষিকা কুমারি প্রতিভা তার স্বামী প্রদীপ কুমার রামকে হত্যা করে তার দেহ কোথাও ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করেন।
ভারতীয় পুলিশ জানায়, গত ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হন প্রদীপ। সকালে উঠে স্বামী যেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন, সেখানে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিভা। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তার স্বামীকে খুন করে লাশ গায়েব করে দিয়েছে।
এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে হয়রান হয়েও প্রদীপের মৃতদেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ। এর মধ্যেই বাড়ির অদূরে একটি বোতল পাওয়া যায়। তাতে তখনও রক্ত লেগে ছিল। সন্দেহ হয় পুলিশের। যে জায়গাটিতে রক্ত লেগেছিল, সেটি দেখে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। জোরদার তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর প্রদেশের জামানিয়া থেকে শেষপর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় শেষপর্যন্ত সত্যিটা জানান প্রদীপ।
প্রদীপ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংসারে অশান্তি করতেন স্ত্রী। তাই বাজারে মাংসের দোকান থেকে ৪০ টাকা দিয়ে এক বোতল ছাগলের রক্ত কিনে আনেন। আর তাই দিয়ে নিজের মৃত্যুর গল্প ফেঁদে বাড়ি থেকে পালান। শেষ মেষ থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান প্রদীপ।