টেকনোলজিস্ট আরাম করছেন, নিজেই করোনার স্যাম্পল দিচ্ছেন ভারতফেরত যাত্রীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া সীমান্তপথে ভারত ফেরত যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের কাজে ভয়ঙ্কর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
দায়িত্বে থাকা টেকনোলজিস্ট খোলা জায়গায় উদাস ভঙ্গিতে বসে থাকেন, পাশে যাত্রী নিজেই নিজের নমুনা সংগ্রহ করেন । দুই জনের মাঝখানে নেই কোন নিরাপদ দূরত্ব; এমনকি টেকনোলজিস্ট সাধারণ মাস্ক আর গ্লাভস ছাড়া কোনো সুরক্ষা সরঞ্জামও পরছেন না।
গত ১০ এপ্রিল থেকে অরক্ষিত খোলা পুকুর ঘাটেই যাত্রীদের কোভিড-১৯ নমুনার স্যাম্পল সংগ্রহ করে যাচ্ছেন ওই টেকনোলজিস্ট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উদাস ভঙ্গিতে পুকুরঘাটে বসে আছেন ওই টেকনোলজিস্ট। যাত্রীরা নমুনা দিতে চাইলে হাতে তুলে দেওয়া হয় কটনবাড।
ভারত ফেরত যাত্রীরা বলছেন, নমুনা সংগ্রহ করতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এভাবে নমুনা সংগ্রহ করায় কারো করোনাভাইরাস থাকলেও তা শনাক্ত হচ্ছে না। তাছাড়া নিজেই নিজের স্যাম্পল ব্যাগে ঢোকানোয় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টেকনোলজিস্ট মনির হোসেন খান অনিয়মের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, একমাত্র হ্যান্ডগ্লাভস ছাড়া আর কোনো সুরক্ষা সরঞ্জাম তাকে সরবরাহ করা হয় না। এমনকি কটনবাডও কিনতে হয় নিজের টাকায়।
তবে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব ধরনের পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্টসহ টেকনোলজিস্টকে ইমিগ্রেশন এলাকায় দায়িত্বে রাখা হয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে পাল্টপাল্টি অভিযোগে কোনো আগ্রহ নেই যাত্রীদের।
এদিকে যাত্রীরা প্রত্যাশা করছেন, এমন সংবেদনশীল একটি বিষয় নিয়ে গা ছাড়া ভাব ত্যাগ করবে প্রশাসন।
আখাউড়া সীমান্তপথে এই পর্যন্ত ১ হাজার ২৯৭ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৫৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনকে করোনাভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। খবরঃ যমুনা টেলিভিশন।